পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের

সব নাগরিকের উন্নয়ন ও অধিকারের সুরক্ষা এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
গত সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের আদিবাসীবিষয়ক স্থায়ী ফোরাম (ইউএন পার্মানেন্ট ফোরাম অন ইন্ডিজিনাস ইস্যুজের (ইউএনপিএফআইআই) ২৪তম অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সচিব মো. আব্দুল খালেক এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সচিব মো. আব্দুল খালেক তাঁর বিবৃতিতে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে ফোরামকে অবহিত করেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সচিব পার্বত্য অঞ্চলে প্রচলিত ভূমি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উপরও আলোকপাত করেছেন, যা মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধিমালা, ১৯০০ অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জীবিকা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত আর্থিক সহায়তা এবং বরাদ্দের উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিবৃতিতে নৃগোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়গুলোর অনন্য স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও প্রথা রক্ষা এবং প্রচারের জন্য বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
‘ফাইন্যান্সিং অব ইন্ডিজিনাস পিপলস ওয়ার্ক অ্যান্ড পার্টিসিপেশন অ্যাক্রোস দ্য মাল্টিলেটারাল অ্যান্ড রিজিওনাল সিস্টেম’ শীর্ষক বিষয়ভিত্তিক সংলাপে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল যা তাদের প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলোতে প্রাসঙ্গিক বহুপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক ব্যবস্থায় তাদের অর্থবহ অংশগ্রহণের গুরুত্ব স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠিত অনুশীলন এবং পদ্ধতিগুলোকে সম্মান করার গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলটিতে ভূমি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং সমতল অঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা ছিলেন।