বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

সারা দেশের মতো গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাতেও এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন পাকা ধানে ছেয়ে গেছে প্রকৃতি। মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
বৈশাখ শুরুর আগেই কালীগঞ্জের বেলাই বিলে ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। আর বৈশাখের শুরুতেই মাঠে মাঠে বইছে ধান কাটার উৎসবের আমেজ। উপজেলার তুমলিয়া, বক্তারপুর, জাঙ্গালিয়া, মোক্তারপুর, বাহাদুরশাদী, জামালপুর ও নাগরী ইউনিয়নের পাশাপাশি পৌরসভা এলাকাতেও এখন ধানের সুবাস বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
কৃষকরা এখন ধান ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ধান কর্তন সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
বক্তারপুরের নাওয়ানের মোড় এলাকার কৃষক মো. রমজান হোসেন বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করি, এই ফসল এলাকার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে।’
তুমলিয়ার টিওরী গ্রামের কৃষক মো. সবুর আলী বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেতরে রোপণ কিছুটা দেরিতে হলেও ফলন ভালো হয়েছে। আমরা আনন্দের সঙ্গে ধান কাটছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বেলাই বিল এলাকার বড় সমস্যা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বিল প্লাবিত হওয়া। তাই কৃষকদের আগাম জাতের ধানে আগ্রহী হতে বলা হচ্ছে। আগে কৃষক এখানে ২৮ জাতের ধান চাষ করতো। বর্তমানে ব্রিধান-২৮ জাতের ধানে রোগ বালাই বেশি হচ্ছে। তাই আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি ব্রিধান-২৮ এর বিকল্প হিসাবে ব্রিধান-৯৬ জাত চাষ করতে। এই জাতের ধান অল্প দিনে কর্তন করা যায়। তাছাড়া ব্রিধান-২৮ এর পরিবর্তে এবার বেশি চাষ হয়েছে স্বল্প জীবনকালের ব্রিধান-৮৮, ব্রিধান-৯৬, ব্রিধান-১০০ ও অন্যান্য জাতের ধান।’
ফারজানা তাসলিম আরও বলেন, এবার উপজেলায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে। আমন আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হাইব্রিড জাতের জন্য ৫.২ মেট্রিক টন এবং উফশী জাতের জন্য ৪.১ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছিল।