তীব্র গরমে নাকাল জনজীবন, বিপাকে শ্রমজীবী মানুষরা

গাজীপুরে কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শিল্পাঞ্চল হিসেবে জনবহুল এ জেলায় চলমান দাবদাহে মানুষের ভোগান্তির সীমা নেই। হাসপাতালে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপ-প্রবাহের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে গাজীপুরের কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন উচ্চচাপ বলয় সক্রিয় থাকায় সূর্যের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে কোনো নিম্নচাপ না থাকায় এবং বর্ষাকালীন বায়ুপ্রবাহ সক্রিয় না হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে গরম ও শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। একইসঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় গরমের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া উপজেলায় দেখা গেছে, গরমের কারণে রাস্তাঘাট ফাঁকা। সকাল ৮টার পর থেকেই সূর্যের প্রখরতা বাড়তে থাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, তাদের অনেককেই মাথায় কাপড় বা ছাতা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর ও কৃষিশ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। তীব্র গরমে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন, কেউ মাথায় পানি ঢালছেন কিংবা ঠান্ডা শরবত পান করে স্বস্তি খুঁজছেন।
শ্রমজীবী মানুষেরা বলেন, আমরা রাস্তাঘাটে কাজ করে, ক্ষেতে কাজ করে বা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এই প্রচণ্ড গরমে কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রোজগার করতে না পারলে পরিবার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, চলমান গরমের মধ্যে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। হিট স্ট্রোক এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি সরাসরি রোদে চলাচল কমাতে বলা হয়েছে।