মাগুরার বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিনের মতো তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তারা হলেন— শিশু আছিয়ার চাচা ইব্রাহিম শেখ, নিজনান্দুয়ালী মাদ্রাসার কারি মো. দেলোয়ার হোসেন ও অভিযুক্ত হিটু শেখের প্রতিবেশী হযরত আলী। 

এর আগে, গতকাল রোববার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনে বাদীসহ ৩৭ জনের মধ্যে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। তারা হলেন—আছিয়ার মা আয়েশা খাতুন, অভিযুক্ত হিটু শেখের প্রতিবেশী জলি খাতুন ও ভ্যানচালক রুবেল।

মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। আদালত চত্বরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

অভিযুক্ত হিটু শেখ ইতোপূর্বে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও আজ আদালতে তিনিসহ সকল আসামি নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করায় লিগাল এইডের মাধ্যমে তাদের পক্ষে সোহেল আহমেদকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

শিশু আছিয়ার পক্ষে মামলায় অংশগ্রহণ করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল। তাকে সহযোগিতা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গঠিত পাঁচ আইনজীবী প্যানেলের সদস্যরা। এ সময়ে আসামি ৪ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

গত ১৩ এপ্রিল মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এর আগে, ৬ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এলে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ তাকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিশু আছিয়া মারা যায়। এ ঘটনায় শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার বাদি হয়ে মামলা করে। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ওই সময় মাগুরাসহ দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়।