‘প্রক্সি’ ভোট হলে সংসার ভেঙে যাবে, ইসিকে কাতার প্রবাসী

প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্টদের মতামত জানতে আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক সেমিনারের আয়োজন করে ইসি। সেমিনারে প্রক্সি, পোস্টাল ও অনলাইন— এই তিন পদ্ধতিতে ভোট নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো ও উপস্থিত ব্যক্তিরা একমত পোষণ করলেও ভোটের পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে অনেকে।
আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্তত ২১টি দলের প্রতিনিধিরা সেমিনারে অংশ নেন এবং তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া সিনিয়র সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার সম্ভাব্য তিন পদ্ধতির মধ্যে ‘প্রক্সি ভোটের’ দিকে ইসির ঝোঁক থাকলেও তাতে বেশকিছু ‘ঝুঁকি’ বা ‘ত্রুটি’ থাকার কথা বলেছে রাজনৈতিক দল ও উপস্থিত ব্যক্তিরা।
সেমিনারের শেষ দিকে একজন কাতার প্রবাসী তার মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে প্রবাসীদের ভোটের পক্ষে আন্দোলন করছেন বলে দাবি করেন। তিনি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে সেমিনারে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে জানান। কাতারের এই প্রবাসী বলেন, বিগত সরকার প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও কথা রাখেনি। এবার উদ্যোগ নেওয়ায় আমি খুশি।
নিজের নাম না জানিয়েই বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন এ প্রবাসী। তিনি বলেন, ভোট কীভাবে নেবেন, সেটার ওপর আমার একটি প্রস্তাব রয়েছে। আমরা জানি, বাংলাদেশ ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। বিদেশ থেকে আমরা বিকাশ-নগদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আদান-প্রদান করি। বিকাশ ও নগদের মতো নির্বাচন কমিশন যদি একটা অ্যাপস তৈরি করে, ভোটার আমেরিকা, কাতার কিংবা কুয়েত যেখানেই থাকুক, সেখান থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে তার ভোটটি প্রদান করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়ায় গেলে মনে হয় সুবিধা হবে, স্বচ্ছ ভোট হবে।
প্রবাসী এই বাংলাদেশি বলেন, এ সেমিনারে প্রক্সি ভোট দেওয়ার জন্য অনেকে প্রস্তাব করেছেন। প্রবাসী হিসেবে আমার বউকে যদি বলি আমার ভোটটা তুমি দাও, সে হয়তো কোনো একটি দল পছন্দ করে, আমি আরেকটা দল পছন্দ করি, সে আমার ভোটটা তার পছন্দের দলকে দিয়ে দিল। এটা নিয়ে আমার সঙ্গে তার মনোমালিন্য হবে, কিছুদিন পরে সেপারেশন (বিচ্ছেদ) হয়ে যাবে। তো, আপনারা এই দুযোর্গটা কেন ডেকে আনতেছেন?
এ কথা শুনে উপস্থিত প্রায় সবাই উচ্চস্বরে হেসে ওঠেন। সে সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ওই প্রবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ কি আছেন যাকে আপনি বিশ্বাস করেন?
উত্তরে কাতার প্রবাসী বলেন, আমি কাউকেই বিশ্বাস করি না। আমি নিজেকেও বিশ্বাস করি না। আমার বউকে কীভাবে বিশ্বাস করব? আমি মনে করি প্রক্সি ভোট হবে না। এ চিন্তা বাদ দিতে হবে। পোস্টাল ভোট আমাদের দেশে নির্ভরযোগ্য না। বেস্ট হলো অ্যাপস। এ মাধ্যমে আমরা বিদেশ থেকে ভোট দিতে পারি।
এ বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলগুলো সেমিনারে নানা পরামর্শ দেয়। তবে শেষমেশ কোন পদ্ধতিতে প্রবাসীদের ভোট হতে পারে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও অতিথিদের আগামী ১৫ মের মধ্যে মতামত লিখিত আকারে পাঠাতে বলেছে ইসি।
সেমিনারে উন্মুক্ত আলোচনায় বিএনপি দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক কমিটি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রক্সি বাছাই, পছন্দের প্রতীকে ভোট, নিরাপত্তার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
বিকেলে সেমিনার শেষে সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, আপনারা সকাল থেকে আলোচনা করেছেন, অত্যন্ত মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। আমরা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট পদ্ধতি আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ আপনাদের মতামতকে গুরুত্ব দেব। আমরা কনফিডেন্ট, আমরা শুরুটা করতে চাই। আপনাদের সহযোগিতা, বিশেষ করে দলগুলোর সমর্থন চাই।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবার দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হচ্ছে আমাদের প্রধান স্টেকহোল্ডার। ভবিষ্যতে আপনাদের দাওয়াত দেব, ইনশাহআল্লাহ আপনারা আসবেন। আপনাদের মতামতের জন্য এবং সর্বোপরি নির্বাচনের জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।
সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এমন একজন প্রযুক্তিবিদ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে। কেউ যদি মনে করে, অনলাইন ভোটিং পদ্ধতি হ্যাক করবে, এটা যেভাবেই হোক সম্ভব। ফলে, সবকিছু মাথায় নিয়ে সেভাবে এগোতে হবে।
দলীয় ফোরামে আলোচনা করবে বিএনপি
নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে এই উন্মুক্ত আলোচনায় অন্য দলের মতামত ও পরামর্শ শুনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। বিএনপি প্রবাসীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের ব্যবস্থা করার পক্ষে মত দিয়েছে। তবে তিনটি পদ্ধতির বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে ১৫ মে মধ্যে মতামত দেবে। সহজ, বোধগম্য ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি বাছাই হবে বলে প্রত্যাশা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিবেচনায় নিলে হবে না, এনআইডির পাশপাশি পাসপোর্টও বিবেচনায় নিতে হবে। কেননা, অনেকের এনআইডি নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০১৪ সালে যখন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিল ইসি, তখন আমরা প্রবাসীদের ভোট দেওয়া সুয়োগের প্রস্তাব করেছিলাম। ২০১৭ সালের ভিশন ’২০-৩০, ২০২২ সালের ২৭ দফাতেও প্রবাসীর ভেটের কথা বলেছি৷ ২০২৩ সালের ৩১ দফার রাষ্ট্র সংস্কারের সময়ও এই বিষয়টি বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। প্রবাসীদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার উদ্যোগের প্রতি বিএনপির পূর্ণ সমর্থন আছে। সেমিনারে প্রবাসীদের ভোটিংয়ের জন্য তিন প্রস্তাব (অনলাইন, প্রক্সি ও পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি) উপস্থাপন করা হযেছে। আমরা আমাদের দলে আলোচনা করে মতামত দেব। কোনটা সবচেয়ে ভালো হয় সে মতামত দেব।
নজরুল ইসলাম খানের ভাষ্য, এই দুনিয়ায় কেনো সিস্টেমই ফুলপ্রুফ না। ফুলপ্রুফ হলে সংস্কার, বিপ্লবের প্রয়োজন হয় না। আমরা বিবেচনা করব যেটা সবচেয়ে সহজ ও বোধগম্য হবে, যেটা সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে, যেটা সবচেয়ে সাশ্রয়ী হবে— সেই প্রক্রিয়ার বিষয়ে আমরা সম্মত হতে পারব বলে আশা করি।
জামায়াতে ইসলামী যা বলছে
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, উদ্যোগ নিলেই অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। এটি ভালো উদ্যোগ। ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মধ্যে এগিয়ে যেতে হবে। দলীয় ফোরামে পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করে মতামত জানানো হবে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আমরা ইসির সঙ্গে বৈঠকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি এনেছিলাম। ইসি সেই উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছে গত ১৫ বছরে। ইসির প্রতি ট্রাস্ট অ্যান্ড কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেছে।
প্রক্সি ভোটের ত্রুটির বিষয়ে মতিউর রহমান আকন্দ জানান, ‘এক্স’ একজনকে পছন্দ করে, ‘ওয়াই’ আরেকজনকে পছন্দ করে। তাহলে ‘এক্স’ এর প্রক্সি যদি ‘ওয়াই’কে দেওয়া হয় তাহলে ভোটারের রায়ের সঠিক প্রতিফলন হবে না। তবে দলীয় ফোরামে আলোচনার পরই পরবর্তীতে মতামত দেওয়া হবে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হবে। কোনো অবস্থাতেই সিস্টেমকে ধ্বংস করা যাবে না।
এনসিপি বলছে, প্রক্সি ভোটে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ‘ট্রাস্ট’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ বেশি দেখছি। ইসির কাছে আমাদের প্রত্যাশা— অর্ধেক নয়, পরিপূর্ণ এফোর্ট দিয়ে যেন তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারে। প্রক্সি ভোট হলে কোথাও কোথাও বেশ ভোট আসতে পারে৷ সেক্ষেত্রে এটা একটা থ্রেট হতে পারে। আমরা দলীয় ফোরামের আলোচনা করে ইসিকে মতামত জানাব।
এ নেতার ভাষ্য, ভোটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো ট্রাস্ট। এটা বজায় রাখতে হবে। সবার যাতে ট্রাস্ট থাকে— অনলাইন হোক, পোস্টাল হোক। প্রক্সি নিযে আমাদের সন্দেহ আছে। সেটা দলীয় ফোরামের আলোচনা করে জানাব।
গণঅধিকার পরিষদ
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে মতামত জানাব। দুই কোটি ভোটার রয়েছে। মানুষের জন্য সুবিধা হয়, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেভাবে দিতে হবে। প্রক্সি ভোটে দেখেছি যেটা, আমার মা একটি দলকে ভোট দেয়। আমার বাবা আরেকটি দলকে ভোট দেয়। এক্ষেত্রে প্রক্সির মাধ্যমে কী করে সিকিউরিটি নিশ্চিত করা যায়, সেটা ভেবে দেখতে হবে।
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি
এবি পার্টির শ্যাডো অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি আব্বাস ইসলাম খান জানান, মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের এনআইডি আছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশে কিন্তু বেশিরভাগেরই পাসপোর্ট আছে৷ তারা মিশনে গিয়ে কেন এনআইডি নেবে? কাজেই পাসপোর্টও যেন অপশন রাখা হয়।
আব্বাস ইসলাম খান জানান, এনআইডির ডাটা নিরাপত্তা দিতে পারিনি। তাই অনলাইন ভোটিংয়ে পাবলিক ট্রাস্ট নিয়ে আসতে হবে। কেননা, শুরু করে সিকিউরিটি দিতে না পারলে বন্ধ হয়ে যাবে৷ অনলাইনে যেহেতু হ্যাক করা যায়, সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার আসলে কী হবে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রক্সি ভোট বাংলাদেশের জন্য খুব রিক্সি। উন্নত বিশ্ব যেখানে পারছে না, আমাদের নাগরিকরা যেখানে সত্যিকার নাগরিক হতে পারিনি, সেখানে দলগুলো কিন্তু ফাঁক-ফোঁকর বের করে ফেলবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
সিপিবির প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, অনলাইন, প্রক্সি ও পোস্টাল— তিনটি পদ্ধতিরই সুবিধা-অসুবিধা আছে। তবে দলগুলোর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। প্রবাসে দেড় কোটি ভোটার, এর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে আছে৷ তাই সতর্কতার সাথে আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। তাই ইসির উচিত দলগুলোকে আস্থায় এনে যেন কাজ করে।
অন্যান্য দল
নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার জানান, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যেন ভুল না হয়। আস্থা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, তার দল প্রক্সি ভোটের পক্ষে। অনলাইন ভোটিং নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, আর পোস্টাল ব্যালট নিয়ে আগ্রহ নেই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বলেছে, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে মতামত দেবে।
বাংলাদেশ কংগ্রেস বিস্তারিত মতামত দেওয়ার কথা বললেও জালিয়াতির সুযোগ থাকায় প্রক্সি ভোটের বিপক্ষে দলটি।
সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রধান আবু লায়েন্স মুন্না জানান, তার দল প্রক্সি ভোটিংয়ের পক্ষে নয়।
বাংলাদেশ জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু জানান, তার দলও ফোরামে আলোচনা করে মতামত জানাবে। তবে তারা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মডেল নির্বাচন হিসেবে দেখতে চায়।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি কাজী আবুল খায়ের জানান, প্রবাসীদের ভোটিং ব্যবস্থা নির্ধারণের পূর্বে দলগুলোর একমত হতে হবে যে ভুল হলেও মেনে নেব। দলটির অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান জানান, প্রবাসীদের ভোট নেন, তবে আগে দেশের ভেতরে ভোট সুষ্ঠু করেন।
সিইসির আশা
সকালে সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আগামী নির্বাচনে ছোট পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটিং চালু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের ভোট আমরা পরবর্তী নির্বাচনে অন্তত শুরু করতে চাই। অন্তত যাত্রা শুরু হোক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শুরু করে আবার এগোতে পারেনি। প্রক্সি ভোট অনেক দেশ চালু করেছে, অনেক দেশ চালু করতে পারেনি। আমরা চালু করতে চাই, অন্তত সীমিত পরিসরে শুরু করতে চাই। আপনাদের সমর্থন চাই। আশা করি, সমর্থন পাব।
প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নির্ধারণে রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পেলে ইসির সব উদ্যোগ ‘বৃথা’ যাবে বলে মন্তব্য করেন সিইসি। তিনি বলেন, আপনাদের পরামর্শ নিয়েই আমরা এগোতে চাই। আর সর্বোপরি, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা যদি সমর্থন না দেন, আমাদের যত এক্সারসাইজ আছে- ইট উইল অল এন্ড ইন ফিউটিলিটি।