কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জামায়াত আমিরের
কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর পল্টন মোড়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মালিক পক্ষের প্রতি এ অনুরোধ জানান।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন মিল-কারখানা-ফ্যাক্টরিতে ছোট করে হলেও পুরুষদের জন্য নামাজের জায়গার ব্যবস্থা রাখা হয়। সেখানেতো আমাদের মা-বোনরাও কাজ করেন, তাদের জন্য নামাজের জায়গার ব্যবস্থা রাখা হয় না। তারাও নামাজ পড়তে চান। আমি মালিক পক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ করব–যারা নামাজ পড়তে চান মেহেরবানি করে তাদের ইবাদত পালনের সুযোগ দিন, সম্মান দেখান, আপনারাও অংশীদার হোন। নারীরা যেন কর্মক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যে ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারেন, তারা যেন নির্দিষ্ট নামাজের জায়গায় নামাজ আদায় করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দিন।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘শ্রমিকরা নির্যাতিত ও বঞ্চিত। বিভিন্ন জায়গার মিল-ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টরা যারা উদ্যোক্তা, তারা বিভিন্নভাবে আমাদের সহকর্মী শ্রমিক ভাইদের উপযুক্ত মূল্যায়ন করেন না। তাদের শ্রমের মর্যাদা দেন না, কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করেন না। এটিই হচ্ছে বাস্তবতা। আবার আরেকটি বাস্তবতাও আছে। তারা যেমন নির্যাতন করেন শ্রমিকদের ওপর, ঠিক তেমনি তারা আবার নির্যাতিত হন চাঁদাবাজদের হাতে। চাঁদাবাজরা বিভিন্নভাবে তাদের সামনে হাজির হয়, বিভিন্ন রূপ নিয়ে হাজির হয়। বিভিন্ন দিবস পালনের জন্য হাজির হয়। এমনকি আজকের দিবসটি পালনের জন্যও বিভিন্ন জায়গায় তারা হাজির হয়েছে।’
জামায়াত আমির বলেন, দেড়শ বছর আগের আজকের এই দিনটিকে আমরা গভীরভাবে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছি। কিন্তু শ্রমিকদের নির্যাতন তো বন্ধ হচ্ছে না। অধিকাংশ জায়গায় হয়তো আট ঘণ্টা কর্মঘণ্টা আছে। কিন্তু এই আট ঘণ্টায় তাদের হাতে যে বেতন-ভাতা তুলে দেওয়া হয় তা দিয়ে তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এইটুকুও সারতে পারে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে একজায়গায় করে আট ঘণ্টা কাজ, আরেক জায়গাও গিয়ে করে আট ঘণ্টা কাজ।
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মূল কাজটি হলো মালিক এবং শ্রমিকের সমন্বয়ে একটি দরদি, একটি পারস্পরিক সম্মানের সমাজ গড়া, কর্মের জায়গা গড়া। আমরা এমন সমাজ দেখতে চাই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন–জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।