আসামিদের নিয়মিত আদালতে উপস্থাপন না করায় ওসিকে শোকজ

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা ১১ জন আসামিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থাপন না করায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম গ্রেপ্তার ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৬১ ধারা অনুযায়ী নিয়মিত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের উপস্থাপন না করায় ওসিকে আগামী ১২ মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. খোরশেদ আলম বলেন, ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের ১১ জন মাদকসেবীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতে না তোলার খবর প্রকাশ হয় পত্রিকায়। পরে তা আমলি আদালতের নজরে আসে। প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করেন আমলি ম্যাজিস্ট্রেট। তার কাছে এটা স্পষ্ট হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা না দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এটি সুস্পষ্টভাবে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এবং মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর লঙ্ঘন।
ম্যাজিস্ট্রেট আদেশে উল্লেখ করেন, বলবৎ আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার আসামিদের থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে বা নির্দেশনায় তাদের ইউএনও কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ঘটনা সংঘটিত না হওয়া সত্ত্বেও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়া হয়। অথচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া। পরে আত্রাই আমলি আদালতে উপস্থাপন করার। এতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ আইন, ১৮৬১ এর ২৯ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন।
রাত ১০ টার দিকে মুঠোফোনে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, বিজ্ঞ আদালত শোকজ করেছে একথা তিনি শুনেছেন। এখনও আদেশের কাগজ তার কাছে পৌঁছায়নি। আদেশের কপি পেলে আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।