চট্টগ্রামে সুরের মূর্ছনায় সোলসের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি সোলস চট্টগ্রাম নগরীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। মাস্টার কার্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘সোলস আনপ্লাগড’ শিরোনামে এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বিগত পাঁচ দশকের কালজয়ী গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন শিল্পীরা।
শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় নগরীর রেডিসন ব্লু বে ভিউ হোটেলে সোলসের বর্তমান ও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা এক মঞ্চে মিলিত হন। একান্ত ও অ্যাকুস্টিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে তারা তাদের জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে শোনান। দর্শকদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে গান গাওয়ার মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সোলস আবারও প্রমাণ করে কেন তারা পাঁচ দশক ধরে বাংলা সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে রাজত্ব করছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এম এন এম বিজনেস কমিউনিকেশনের নির্বাহী মানজুমা মোরশেদ এবং মাস্টার কার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বক্তব্য দেন। সোলসের গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট পার্থ বড়ুয়া তার জনপ্রিয় গান ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘সুর শুধু সুর ছুঁয়েছে’, ‘এ মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’সহ বিভিন্ন গান গেয়ে পুরো হল ভর্তি দর্শকদের মুগ্ধ করেন।
এ সময় পার্থ বড়ুয়া বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মানুষ সোলসকে কতটা ভালোবাসে তা আবারও প্রমাণিত হলো। দর্শকদের ভালোবাসার জন্যই সোলস আজ ৫০ বছর ধরে টিকে আছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের ভালোবাসা চান তিনি।
মাস্টার কার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের সংগীতের ইতিহাসে সোলসের ভূমিকা স্মরণীয় এবং তাদের এই মাইলফলকে স্পন্সর করতে পেরে তারা গর্বিত।
এম এন এম বিজনেস কমিউনিকেশনের নির্বাহী মানজুমা মোরশেদ বলেন, ‘সোলস আনপ্লাগড’ শুধু একটি অনুষ্ঠান ছিল না, এটি ছিল ভালোবাসা, স্মৃতি আর গর্বের এক অপূর্ব মিলন।
সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দর্শক-শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো গানগুলো উপভোগ করেন এবং প্রতিটি পরিবেশনা যেন হৃদয়ের গভীরতম কোণে ছুঁয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের সংগীত ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানের শেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন শিল্পী পার্থ বড়ুয়া, মিডিয়া পার্টনার এনটিভির অনুষ্ঠান প্রধান আলফ্রেড খোকনসহ অন্যান্য অতিথিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।