ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম অতন্দ্রপ্রহরীর ভূমিকায় : সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে গণমাধ্যম অতন্দ্রপ্রহরীর ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আহমদ ভূঞা।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটেে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এ মন্তব্য করেন।
আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট। এতে সহযোগিতা করে ইউএনডিপি, সুইডিশ দূতাবাস ও সুপ্রিম কোর্ট।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। যার অনেকগুলোই বাস্তবায়ন হয়েছে। পৃথক সচিবালয়সহ কয়েকটি বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় এগুলো বাস্তবায়নের জন্য গণমাধ্যম অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
রেজিস্ট্রার জেনারেল আরও বলেন, আদালত অঙ্গনের দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে প্রধান বিচারপতি কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বিচার বিভাগে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকরা অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কর্মশালায় ইউএনডিপি বাংলাদেশের আইন, বিচার ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা রোমানা শোয়েগার বলেন, বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করার জন্য আদালত ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজড করা দরকার। জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন ও স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা যাতে গঠন করা হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
এ সময় ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য ইউএনডিপির সহযোগিতায় দেশের সাতটি অঞ্চলে মতবিনিময় করা হয়েছে। যাতে জনগণ সংস্কারের বিষয়ে সচেতন হতে পারে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. কাউসার আহাম্মদ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। কর্মশালায় বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক তানজিম তামান্না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক। কর্মশালায় ল' রিপোর্টার্স ফোরামের ৪০ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।