জন্মসূত্রে নাগরিকত্বে ট্রাম্পের আদেশ এখনও অনিশ্চিত

মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ফেডারেল বিচারকদের ‘ইউনিভার্সাল ইনজাংশন’ ব্যবহারের ক্ষমতা সীমিত করার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য বড় জয় হলেও, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধের বিষয়ে তার নির্বাহী আদেশ কার্যকর হবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। খবর রয়টার্সের।
ট্রাম্প জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পরই একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন, যেখানে বলা হয়, বাবা-মার অন্তত একজন মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী না হলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুর নাগরিকত্ব স্বীকৃতি পাবে না। তবে তিনজন ফেডারেল বিচারক এটি ১৪তম সংশোধনী লঙ্ঘন করছে বলে আদেশটি সারাদেশে স্থগিত করেন।
সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার রায়ে বিচারকদের সর্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞার ক্ষমতা কমিয়ে আনলেও, আদেশ কার্যকর হওয়ার আগে প্রতিদ্বন্দ্বীরা আদালতে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রেখেছে। ফলে আদেশটি কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে।
নটর ডেম ল স্কুলের অধ্যাপক স্যামুয়েল ব্রে বলেন, “এই নির্বাহী আদেশ কখনও কার্যকর হবে বলে আমি মনে করি না,” কারণ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।
এরই মধ্যে মেরিল্যান্ড মামলার বাদীরা আদালতে আবেদন করেছেন, যেন মামলাটি ক্লাস অ্যাকশন হিসেবে বিবেচিত হয়। যাতে সমগ্র দেশে প্রভাবিত শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্লাটকিন বলেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই অবৈধ আদেশের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো। এই আদেশ গৃহযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো মার্কিন মাটিতে জন্ম নেওয়া শিশুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায়।”

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম্ন আদালতে মামলা নিয়ে জটিল আইনি লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং চ্যালেঞ্জকারীদের জন্য লড়াই কঠিন হবে। সফল না হলে ট্রাম্পের আদেশ আংশিকভাবে কিছু রাজ্যে কার্যকর হতে পারে, অন্য রাজ্যে নয়।
কলাম্বিয়া ল স্কুলের অধ্যাপক এলোরা মুখার্জি বলেন, “রায় কার্যকর হওয়ার ৩০ দিনের সময়সীমা চলছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে অনেক পরিবারের জন্য অস্থিরতা তৈরি করেছে যে তাদের শিশু জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাবে কিনা।”