পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজের পরদিন সাবেক বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কলপুর গ্রামে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজের একদিন পর সাবেক বিজিবি সদস্য হাফিজুর রহমান রিপনের (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৪ মে) সকালে স্থানীয় একটি পুকুর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হাফিজুর রহমান রিপন সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের কলপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত আকরামুজ্জামান আকু মোল্লার ছেলে। তিনি বিডিআর বিদ্রোহের সময় চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন।
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে খাবার শেষে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান হাফিজুর। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বুধবার সকালে দক্ষিণপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান মোল্লার বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম আরও জানান, হাফিজুর দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কোমরের ব্যথায় ভুগছিলেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং তিনি কারও সঙ্গে শত্রুতা করতেন না। মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক ধরে নিয়ে তিনি ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিতে চাইলেও পুলিশ সে অনুরোধ রাখেনি।
নিহতের চাচা আমিনুল ইসলামও বলেন, পুলিশের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় হয়তো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু সালেহ মো. আনসার উদ্দিন বলেন, বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শামীম আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শাহিন মোল্লাকে ধরতে যায়। তখন স্থানীয় একটি খালপাড়ে জুয়ার আসর চলছিল। পুলিশ দেখে সেখান থেকে হাফিজুরসহ ১০-১২ জন পালিয়ে যায়। পরে হাফিজুর নিখোঁজ হন এবং সকালে পুকুর পাড়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
আবু সালেহ মো. আনসার উদ্দিন আরও জানান, প্রাথমিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। রিপোর্ট পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।