সিঙ্গাইরে জনপ্রিয় হচ্ছে পেঁপে চাষ

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পেঁপে চাষ। পেঁপের ফলন ভালো ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। বাজারে চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।
উপজেলার মাঠগুলোতে এখন সবুজ পেঁপে গাছ দেখা যায়। কেউ ফল তুলছেন, কেউ সার-পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ নতুন পেঁপের চারা লাগাচ্ছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এখন উচ্চফলনশীল জাতের পেঁপে সহজেই পাওয়া যায়। এতে দ্রুত ফলন হয়, খরচ কম পড়ে এবং লাভ বেশি হয়। আগে শুধু বাড়ির আঙিনায় পেঁপের গাছ লাগানো হতো, এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এবং জমির পরিমাণও বাড়ছে।
চর আজিমপুর গ্রামের জুরান খান ও ভানু বিবি জানান, তারা এ বছর ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন। বেগুনটুবি গ্রামের আবু তাহের ছয় বিঘা জমির পেঁপের ফল বিক্রি করে ইতোমধ্যে দেড় লাখ টাকা আয় করেছেন। পুরো মৌসুমে তার লাভ ৫-৬ লাখ টাকা হতে পারে বলে আশা করছেন। শায়েস্তা ও তালেবপুর ইউনিয়নের অনেক চাষিও ফলন ভালো হওয়ার আশায় আছেন।
প্রতিদিন হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ সড়কের পাশে চাষিরা পাকা ও কাঁচা পেঁপে বিক্রি করছেন। ফলনের বৃদ্ধি ভোক্তাদেরও উপকার দিয়েছে। দাম সাশ্রয়ী হওয়ায় ক্রেতারা খুশি।
সিঙ্গাইরের বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়, চাষিরা ফল তুলছেন এবং নতুন চারা লাগাচ্ছেন। একটি গাছের নিচে পরের প্রজন্মের গাছও জন্ম নিচ্ছে।
বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁপে এখন ফলের থেকে বেশি সবজি হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। সিঙ্গাইরের পেঁপে জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের রাজধানীসহ অন্যান্য জায়গায় যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান স্বপন জানান, এ বছর সিঙ্গাইরে ৮৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার টন ফল। তিনি জানান, চাষিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং মাঠে গিয়ে পরামর্শও দেয়া হচ্ছে যাতে ফলন আরও বাড়ে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, সিঙ্গাইরের মাটি পেঁপে চাষের জন্য খুবই ভালো। এখানের পেঁপের স্বাদ ও গুণও ভালো।