জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আজ রোববার ( ২৫ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন।

এই মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসান মনজুর।

নথি থেকে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ‌‘মিথ্যা’ অভিযোগ সৃষ্টি করে মামলা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী হোসেন আলী খান হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ‌‘মিথ্যা’ অভিযোগ সৃষ্টি করে মামলা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরজি থেকে জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ সাপ্তাহিক একটি পত্রিকায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ভুয়া মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ‘দুদকের সাবেক সচিব মোখলেস’ কীভাবে এখনও জনপ্রশাসনের সচিব?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় সংবাদটি বাদীর নজরে আসে।

আরজি থেকে আরও জানা গেছে, সংবাদে বর্ণিত ঘটনা ও অপরাধের ধারাবহিকতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, গণতন্ত্র ধ্বংস করাসহ অগণিত লোকজন ভুক্তভোগী হয়। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের উত্থান হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে অসংখ্য মানুষ হত্যা, গুম ও মামলা হামলার শিকার হয়। বাদীও এই ঘটনার একজন ভুক্তভোগী। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবার সরাসরি ভুক্তভোগী।

আসামিরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার পূর্বে এই মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করার জন্য পরস্পর যোগসাজশে যে অপরাধমূলক পরিকল্পনা করা, মিটিং করা, ষড়যন্ত্র করাসহ যেসব অপরাধমূলক কাজ করেছে তা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।