চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে আপত্তি থাকলে আলোচনা করে সমাধান : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যদি কোনো আপত্তি থাকে, তাহলে কেবিনেট ডিভিশন কিংবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। আলোচনা করে সমস্যাটা সমাধান করে নেওয়া যাবে।’
আজ রোববার (২৫ মে) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ও কাঁচা চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সভা শেষে সাংবাদিকরা জানতে চান সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ নিয়ে সচিবালয়ে কর্মচারীরা বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কী ভাবছেন? জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যে আইনটা হচ্ছে এটা ২০১৮ সালে সংশোধন হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার একটা সংশোধন করে ইলেকশনটা যাতে ম্যানিপুলেট করতে পারে, ওই রকম কিছু কিছু সংশোধন করেছিল। ওই সংশোধনটা শুধু বাদ দেওয়া হয়েছে। আগে আইনটি যে রকম ছিল ওটাই করা হয়েছে। তার পরও যদি তাদের কোনো আপত্তি থাকে, তারা আলোচনা করতে পারে, কেবিনেট ডিভিশন কিংবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। আলোচনা করে সমস্যাটা সমাধান করে নেবে।’
কেন এ সময়ে এ অধ্যাদেশ করা জরুরি—এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার ব্যাখ্যা তো আমি দিতে পারব না, কেন এটা দিতেছে। সময়ের প্রয়োজনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘২০১৮ সালে (আইনটা) পরিবর্তন হয়েছে। এখন আবার একটু সংশোধন হয়েছে। এটা তো সে রকম কিছু না।’
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আসন্ন ঈদুল আজহার সময় যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকে, মানুষ যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে—সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’