ভারতে পাচারের শিকার ৩৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এদের মধ্যে ২০ জন কিশোর ও ১৬ জন কিশোরী রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসা কিশোর-কিশোরীরা হলো—আসমা খাতুন, আসমাউল হোসেন, বিউটি রানী, আপন চন্দ্র সিংহ, দেবনাথ, রহমত আলী, জিয়াউর রহমান, রাখি সানা, আয়াত মোড়ল, রিমি মোড়ল, তহমিনা আক্তার, শাকিল হাওলাদার, সম্রাট গুপ্ত, আকাশ হক, শাহিনুর আলম, হানিফ আলী, দেবজিৎ রয়, রাসেল বাবু, ফারিয়া খান, ইব্রাহিম, সফর শেখ, আব্দুস সবুর, আল আমিন, সালমা, সাজেদা ইয়াসমিন, মুন্নী, জোহরা বেগম, নাজমা খাতুন, ধীমান বারুই, শ্রাবণ হোসেন, রিফাত হোসেন, কুলছুম রিদয় রয়, সিথি রয়, প্রিয়ন্তী রয় ও মিলি আক্তার। তারা ঢাকা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, রাজশাহী, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, নাটোর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রংপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী, ঠাকুরগাঁও, ঝালকাঠি, পঞ্চগড় ও কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, ভালো কাজ করার আশায় দুই বছর আগে তারা দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে হরিয়ানায় গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হন। এরপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সে দেশের আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। কারাভোগ শেষে ভারতের একটি এনজিও সংস্থা তাদের দায়িত্ব নিয়ে শেল্টারহোমে রাখে। পরে উভয় দেশের দূতাবাসের সহযোগিতায় ও ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে মঙ্গলবার বিকেলে তারা দেশে ফিরেছেন। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তিনটি এনজিও সংস্থা—জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস, মহিলা আইনজীবী সমিতি তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

রাইটস যশোরের সাইকোসোস্যাল কাউন্সিলর জাওয়াদুল করিম জানান, ফেরত আসা এই কিশোর-কিশোরীদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।