দাউদকান্দিতে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, দুই ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশেষ করে পৌরসভার ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমণের মাত্রা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ দুই ওয়ার্ডকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে পৌর প্রশাসন।
দোনারচর, সবজিকান্দি, দাউদকান্দি, সাহাপাড়া, বলদাখাল ও তুজারভাঙ্গা গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিটি পরিবারেই কেউ না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬ শতাধিক ছাড়িয়েছে। মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ১০২ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৮ জনকে পাঠানো হয়েছে রাজধানীতে। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ২৫৮ জন।
১ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণে রাজধানীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনজন। তারা হলেন- দোনারচর গ্রামের ইউসুফ আলী, নাজির চৌধুরীর স্ত্রী মাকসুদা বেগম ও রাসেলের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন খন্দকার সুমন বলেন, আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। ইতোমধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা নিজ উদ্যোগে ঝোপঝাড় পরিষ্কার, জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলা ও ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটানোর কাজ করছি।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন সরকার জানান, তার ওয়ার্ডে তিনজন মারা গেছেন এবং শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
সমাজকর্মী তৌফিক রুবেল বলেন, ডেঙ্গু এখন মহামারি আকারে ছড়িয়েছে। আমরা মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও ওষুধ বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যারা জটিল অবস্থায় থাকেন, তাদের ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে প্রতিদিনই মশক নিধনে অভিযান চালানো হচ্ছে। ফগার মেশিনে উচ্চমাত্রার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে যাতে মশার বিস্তার রোধ করা যায়।