জামিন পেলেন বেরোবির সেই শিক্ষক

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া সমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত।
চার দিন কারাগারে আটক থাকার পর আজ রোববার (২২ জুন) বিকেলে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন। এ সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে মাহামুদুল হককে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতে ওই শিক্ষকের জামিনের আবেদনকারী কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট শামীম আল মামুন জানান, আজ রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতের যুগ্ম জজ মার্জিয়া খাতুন শিক্ষক মাহামুদুল হককে এই মামলার চার্জশিট না দেওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। আদালত থেকে বিকেলে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জামিন আদেশ পৌঁছালে মুক্তি পান ওই শিক্ষক। অনেকটা অসুস্থ শিক্ষক মাহামুদুল হককে জেল গেট থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। জেল গেটে উপস্থিত তার স্বজনরা জানান, তিনি অসুস্থ তাই হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জেল গেটে আসা বেরোবির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, পুলিশ কোনো তদন্ত না করেই তাদের শিক্ষক মাহামুদুল হককে গ্রেপ্তার করেছিল।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২ আগস্ট জুলাই আন্দোলন চলাকালে পুলিশ দেখে বাড়ি থেকে পালানোর সময় মুদি দোকানদার সমেস উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। প্রায় ১০ মাস পর গত ৩ জুন নগরীর হাজিরহাট থানায় তার স্ত্রী আমেনা বেগম বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। হাজিরহাট থানা পুলিশ গত ১৯ জুন রংপুর নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ারপাড়ার বাসা থেকে ওই মামলার ৫৪ নম্বর আসামি বেরোবির শিক্ষক মাহামুদুল হককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বেরোবির শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং দেশব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং গতকাল শনিবার হাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আল মামুন শাহকে ক্লোজ করা হয়েছে।