পাবনায় লাথির আঘাতে স্বামীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার স্ত্রী

পাবনার সুজানগর উপজেলায় স্ত্রী আমেনা খাতুন আন্নার লাথির আঘাতে স্বামী মো. সবুজ হোসেন (২৬) নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার (২২ জুন) পুলিশ আমেনা খাতুন আন্নাকে গ্রেপ্তার করে ১৫ মাসের দুগ্ধপোষ্য শিশুসহ আদালতে পাঠিয়েছে।
গ্রেপ্তার আমেনা খাতুন আন্না সুজানগরের দুলাই ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত সবুজ হোসেন মানিকহাট ইউনিয়নের বোনকোলা গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় শনিবার (২১ জুন) রাতে নিহতের চাচাতো ভাই রিফাতুল ইসলাম হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয় এবং তাদের একটি ১৫ মাস বয়সী মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। ১৫ দিন আগে আমেনা খাতুন তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। ১৮ জুন (বুধবার) রাতে সবুজ হোসেন স্ত্রী ও সন্তানকে দেখতে শ্বশুরবাড়ি যান। ওই রাতে তাদের মধ্যে বিরোধের এক পর্যায়ে আমেনা খাতুন স্বামীর অণ্ডকোষে লাথি মারেন। এতে তার মৃত্যু হয়। পরে ১৯ জুন পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
অভিযুক্ত আমেনা খাতুন আন্না জানান, তার স্বামী সবুজ মাদকাসক্ত ছিলেন। নেশা করে ঘরে ফিরে প্রায়ই তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করতেন। ঘটনার দিনেও নেশা করে তার বাবার বাড়ি গিয়েছিলেন সবুজ।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী আমেনা খাতুন আন্না পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি স্বামী সবুজ হোসেনের অণ্ডকোষে লাথি মেরে তাকে হত্যা করেছেন। আমেনা খাতুন জানান, স্বামী নেশাগ্রস্ত হয়ে তার কাছে গিয়েছিলেন এবং তাকে শারীরিক নির্যাতন করায় তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। পরে অভিযুক্ত আমেনা খাতুন আন্নাকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া, মাতৃদুগ্ধ পান শিশুর অধিকার রক্ষার জন্য আমেনা খাতুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার ১৫ মাস বয়সী দুগ্ধশিশুকেও তার সঙ্গে আদালতে পাঠানো হয়েছে।