চাঁদপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ১০

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ফুলছোঁয়া গ্রামে শিয়ালের কামড়ে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২৮ জুন) ভোরে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের ব্যাপারী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ব্যাপারী বাড়ির মৃত গফুর ব্যাপারীর ছেলে বারেক ব্যাপারী (৬০), মহসিনের ছেলে রনি (২০), কালাম ব্যাপারীর ছেলে জসিম ব্যাপারী (৩০), মৃত শাহালমের ছেলে রেহান (২০), রাজ্জাক ব্যাপারীর ছেলে হাছান ব্যাপারী (১৫), পণ্ডিত বাড়ির মিজির ছেলে রুবেল (৪০), মৃত লতিফ ব্যাপারীর ছেলে আবু তাহের (৪০), আবু মিয়ার ছেলে লতিফ ও রুহুল আমিনের ছেলে রুবেলসহ আরও একজন। তাদের মধ্যে বারেক ব্যাপারী ও আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোর হওয়ার আগেই দুটি শিয়াল গ্রামে ঢুকে পড়ে। তারা গ্রামের বাড়িগুলোর আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে এবং রাস্তা ও বাড়ির পাশে যাকে সামনে পায় তাকেই আক্রমণ করে কামড়াতে শুরু করে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা আরও জানান, ওই এলাকার একটি মাটির গর্তে প্রায় ১৫-২০টি শিয়ালের বাসা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখান থেকেই এ দুটি শিয়াল বেরিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক ইউপি সদস্য কালাম ব্যাপারী ও স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন মোল্লা জানান, লোকজন ফজরের নামাজ বা সকালে হাঁটার জন্য রাস্তায় নামতেই শিয়াল দুটি হঠাৎ করে একে একে মানুষদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কামড়াতে থাকে। অনেকে হাতের কাছে যা পেয়েছে, লাঠিসোঁটা দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, শিয়ালের কামড়ে বারেক বেপারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে বন্যপ্রাণী আইনের ভেতর থেকেই এসব শিয়াল প্রতিহত করা যায়।
হাজীগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, শিয়াল ধরে বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। তবে জনবল না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। যদি স্থানীয়রা ধরে দিতে পারেন, আমরা বনে অবমুক্ত করব।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।