ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের আশ্বাসে সাড়ে চার ঘণ্টা পর সড়কের অবরোধ তুলে নিয়েছেন। আজ বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটে আটকে থাকা শত শত যানবাহন চলাচল শুরু হয়। যাত্রী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটে।
এর আগে সড়ক অবরোধ চলাকালে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার (এসপি) কাজি আখতারু উল আলম, সেনাবিহিনীর মেজর জায়েদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচীব রুকনুজ্জামান রুকন সরকার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আমজাত আলী, জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল করিম, মহানগর জামায়াতের আমির কামরুল আহসান এমরুল ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে সংকট নিরসনে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করার আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রহমতপুর বাইপাস এলাকায় ঢাকা-মুক্তাগাছা মহাসড়কসহ তিনমুখী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নেন। সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর চলমান কম্বাইন্ড একাডেমিক সিস্টেম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি)’ পুনঃস্থাপন এবং কলেজগুলোকে স্বতন্ত্রভাবে পরিচালনার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবরোধের ঢাকা থেকে মুক্তাগাছা হয়ে জামালপুরগামী এবং অন্যান্য সড়কের সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ যাত্রীদের তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাস-ট্রাকসহ দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ে। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২০ মে থেকে ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও বরিশাল সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেন। ঈদের পর ১৪ জুন কলেজ খোলার পরও তারা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। সর্বশেষ ২৪ জুন থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে প্রশাসনিক সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।