বাউফলে দেশি জাতের মালটা চাষে সাফল্য

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহেদী হাসান (৩০) নিজ নার্সারিতে দেশি জাতের মালটা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। তার মালটার স্বাদ, মান ও কেমিকেলমুক্ত হওয়ায় স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এখন তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মালটা বাজারজাত করছেন।
সরেজমিনে মেহেদীর বাগানে গিয়ে জানা যায়, বাউফল সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর সরকারি-বেসরকারি চাকরির চেষ্টা করেছিলেন মেহেদী। কিন্তু ঘুষের প্রস্তাব পেয়ে তিনি সেসব ছেড়ে কৃষিকাজে ঝুঁকে পড়েন। প্রথম দিকে কিছুটা লোকসানে পড়লেও পরে সফলতা আসতে থাকে। নিজ নার্সারিতে ফলজ ও বনজ গাছের চারা উৎপাদনের পাশাপাশি মাছ চাষও শুরু করেন। এখন তার মাসিক আয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা।
মেহেদী বলেন, আমার মালটায় কোনো কেমিকেল নেই। তাই মানুষ স্বস্তিতে খেতে পারে। অনেকে বেড়াতে গেলে এখান থেকে মালটা কিনে নিয়ে যান।
মেহেদী জানান, কৃষিবিভাগের সহযোগিতা ছাড়া এই সফলতা সম্ভব হতো না।
তার নার্সারিতে দুইজন স্থায়ী দিনমজুর এবং মৌসুমি কৃষিকাজে আরও কয়েকজন কাজ করেন। এতে স্থানীয় শ্রমজীবীরাও উপকৃত হচ্ছেন। জেলা কৃষি অফিস ও বাউফল উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় তিনি সার, বীজ, কীটনাশক এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পান।
বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন বলেন, একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান। তিনি নিজের নার্সারিতে দেশীয় বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। তিনি একটি মালটার বাগান গড়ে তুলেছেন। সেখানে প্রায় ১০০-এর মতো গাছ রয়েছে। গত বছর তিনি মালটা বিক্রি করেছেন। এ বছরও তিনি মালটা চাষে সফল হয়েছেন। তিনি দেশীয় ফলের ভাণ্ডারে মালটাকে যুক্ত করেছেন। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে সকল ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছি। আমরা তার সাফল্য কামনা করি।