অর্থনীতিতে গণতন্ত্র আনতে হবে : আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্রায়ণের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে না, অর্থনীতিতেও গণতন্ত্র আনতে হবে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবসার দ্বার উন্মোচিত করে দিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান।’
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে একটি হোটেলে ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় ব্যবসা সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান সমন্বয়কারী মো. মুনসুর আলম চন্দন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবসার দ্বার উন্মোচিত করে দিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান। প্রাইভেট সেক্টরে ব্যবসায়ী চালিত অর্থনীতি যেটা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আরেকটা হলো উৎপাদনের রাজনীতি, যেটা ব্যবসায়ীদের করতে হবে, বিনিয়োগ ব্যবসায়ীদের করতে হবে। এই দুটো স্লোগানে তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। এই দুই স্লোগান দিয়েই তিনি শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন।
সম্মেলনে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার চেম্বার ও বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, স্থানীয় প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বক্তব্য দেন।
আমীর খসরু আরও বলেন, আমরা সব সময় রাজনৈতিক গণতন্ত্রের কথা বলি কিন্তু শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্র দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে না। এ জন্য অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়ণ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষকে অর্থনীতিতে অংশ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। সরকারের কাজ হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যকে ফ্যসিলিয়েট করা। তা না করে বাধা সৃষ্টির কারণে দেশে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিগত দেড় দশকে সেটা জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে কিছু লুটেরার হাতে তুলে দিয়েছিল। এই লুটেরারা ব্যাংক ও শেয়ার বাজার লুট করেছে, দেশের অর্থ পাচার করেছে মেগা প্রজেক্ট লুণ্ঠন করেছে—তাই আমরা এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু সেই মুক্তবাজার অর্থনীতি থেকে ব্যবসায় গণতন্ত্রায়ণ থেকে অর্থনীতিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সেটা থেকে বেগম খালেদা জিয়া অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে জনগণকে সরিয়ে দিয়ে তারা অর্থনীতির পাশাপাশি রাজনীতিকেও কুক্ষিগত করেছিল। অর্থনীতি ও রাজনীতি কারো কাছে কুক্ষিগত থাকলে মানুষের মুক্তি আসবে না। এ জন্যই জিয়াউর রহমান অর্থনীতিতে গণতন্ত্রায়ণের কথা বলেছেন। শুধু রাজনীতিতে গণতন্ত্রায়ণ করলে মানুষের মুক্তি আসবে না। এ জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।