নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মধ্যে সাতজন একই পরিবারের। পরিবারের সাতজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার তরমুজ পাম্প এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ আটজন নিহত হন।

নিহত আটজনেরই বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামে। রোগী দেখতে একই পরিবারের সাতজন সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

একই পরিবারের নিহত সাতজন হলেন– জাহিদুল ইসলাম, সেলিনা খাতুন, রওশনারা আক্তার ইতি, আনোয়ারা খাতুন, আনোয়ারা খাতুন আনু, আনজুমান ও সীমা।

নিহত মাইক্রোবাসচালকের নাম শাহাবুদ্দিন। তিনিও একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

নিহত জাহিদুল ইসলামের চাচাতো ভাই মানজারুল ইসলাম খোকন বলেন, আমার চাচাতো ভাইয়ের দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। দুদিন আগে এক ছেলের স্ত্রীর তার বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জে অপারেশন হয়েছে। তাকে দেখতে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে চাচাতো ভাই, ভাবিসহ পরিবারের সাতজন সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের সাতজনই মারা গেছেন। তাদের পরিবারে আর কেউ থাকল না। নিহতদের মধ্যে জাহিদুলের স্ত্রী, বোন, শাশুড়ি, শ্যালিকাও রয়েছে।

বেলা ২টার দিকে ধর্মদহ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বাইরে প্রতিবেশীরা ভিড় করে আছে। আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ির অন্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাড়ির ভেতর থেকে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, নিহতদের বাড়ি ধর্মদহ গ্রামে। স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশকে ওই বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তারা যোগাযোগ রাখছে। এখনও মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়নি।