গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সংলগ্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে নিচু এলাকা, বসতভিটা, ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে।
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার মেরিন ড্রাইভ সড়কের একাধিক অংশ ও পুলিশ বক্সসহ বেশ কিছু স্থাপনা সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর ও পটুয়াখালীর নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করলেও উপকূলজুড়ে এর প্রভাব রয়ে গেছে। কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও রাঙ্গাবালীর অন্তত ১৭টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে জলোচ্ছ্বাসে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।
বিশেষ করে রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা এলাকায় ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। স্থানীয়দের মতে, জোয়ারের পানির চাপে ঘেরের মাছ ভেসে গিয়ে অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে, ফলে নৌযান ও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রগমনে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, পটুয়াখালী জেলার ১৭টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধে ভাঙনের কারণে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষণিক জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।