ঝিনাইদহে ২০ গ্রাম পানিবন্দি, বাঁধ সম্প্রসারণের দাবি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা বাজারে সেতু নির্মাণকাজে ধীরগতি ও নদীতে ডাইভারশন বাঁধের কারণে অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান পানির নিচে। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, ডাইভারশন বাঁধ সম্প্রসারণ না করলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
জানা গেছে, সেতু নির্মাণের জন্য বেগবতী নদীতে বাঁধ দেয়ায় নদীর স্বাভাবিক স্রোত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি বিল ও খালের পানি আটকে গেছে। বিল থেকে পানি বের হওয়ার পথ থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বর্তমানে বাঁধে রাখা হয়েছে মাত্র ৩৫-৪০ ফুট চওড়া কাঠের সেতু, যা দিয়ে সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গান্না, মহারাজপুর, কুলবাড়িয়া, বেতাইসহ অন্তত ২০টি গ্রামের ফসলি জমি পানির নিচে। তলিয়ে গেছে বোরো মৌসুমের ধান। কৃষকরা বলছেন, ব্রিজ হোক, তবে আগে পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা হোক।
মহারাজপুর কৃষক সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী বলেন, বিলের পানি বের হওয়ার জন্য সাময়িকভাবে নদীর বাঁধ তুলে দেয়ার বিকল্প নেই। কিন্তু ঠিকাদাররা কর্ণপাত করছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিজানুর রহমান কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আব্দুল খালেক বলেন, নদীতে ডাইভারশন করা হলেও পানি বের হওয়ার জায়গা আছে। তবে পানি একটু কম বের হচ্ছে। ধান যেমন লাগবে, ব্রিজও তো লাগবে।
প্রবহমান নদীতে ডাইভারশন বাঁধ নির্মাণের নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা বলেন, ৪০ ফুট চওড়া কাঠের ব্রিজ বানানো হয়েছে। যার নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। কিন্তু নদীর প্রস্থ প্রায় দেড়শ ফুট। পানি বের হওয়ার জায়গা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা নদীর ডাইভারশন বাঁধ সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দ্রুতই সমাধান হবে।