মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ

তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় শনিবার (২ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কাপ্তাই হ্রদে আবারও মাছ আহরণ শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি বিএফডিসি ম্যানেজার কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম।
দীর্ঘ ৯৪ দিন পর হ্রদে মাছ ধরার সুযোগ পেয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনায় মেতে উঠেছেন জেলেরা। মধ্যরাত থেকে মাছ আহরণ শুরুর কারণে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। জমে উঠেছে মাছ ধরার প্রস্তুতি। ঘাটে এখন ড্রাম, বরফ ভাঙার মেশিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা মো. হারুনুর রশীদ জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে মাছ আহরণ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় বেকার থাকার পর আবার কাজে ফিরতে পারায় আমরা সবাই খুশি। হ্রদে এখন পানি ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এ বছর মাছ ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছি।
গত ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) প্রস্তুতির জন্য আরও দুই দিন সময় বাড়িয়ে ২ আগস্ট পর্যন্ত মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়।
প্রতি বছর ৭২৫ বর্গকিলোমিটারের কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত এবং অবমুক্ত পোনার সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ হ্রদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৭ হাজার জেলে। নিষেধাজ্ঞাকালীন প্রতি বছর বেকার জেলেদের পরিবারকে ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।
এ বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন মাছ আহরণের বিপরীতে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বিএফডিসি।