জুলাই শহীদ স্মরণে শাহবাগে চলছে ছাত্রদলের সমাবেশ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদের স্মরণে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সমাবেশ শুরু হয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ করছে সংগঠনটি।
আজ বোরবার (৩ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় এ সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সমাবেশ শুরু হয় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে। পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশ করা হয়।
সমাবেশ কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা শাহবাগে আসতে থাকে। শাহবাগ মোড়ে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসির সড়ক, মৎস ভবন সড়ক ও কাটাবনের সড়কে অবস্থান করছে দলটির নেতাকর্মী। সমাবেশ কেন্দ্র করে শাহবাগ এলাকায় যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। সভাপতিত্ব করছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
সকাল থেকেই সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। দুপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলেও তাতে দমে যাননি নেতাকর্মীরা। বরং বৃষ্টির মধ্যেই স্লোগান আর মিছিল নিয়ে তারা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সমাবেশকে ঘিরে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। তাদের কণ্ঠে শোনা যায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্লোগান।
এদিকে মূল মঞ্চের এক পাশের ব্যানারে স্থান পায় জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় ও বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে শহীদ হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের ছবি দেখা যায়।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ কমাতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ছাত্রদল ৬ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— সমাবেশে কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন বা প্ল্যাকার্ড আনা যাবে না; সকল ইউনিটকে সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতে হবে; কাঁটাবন মোড় থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্সসহ জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করতে হবে; কোনো ইউনিটের গাড়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না; ব্যক্তিগত শোডাউন বা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না; সমাবেশ শেষে নির্ধারিত স্থান পরিষ্কার করে ত্যাগ করতে হবে।