ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ কাঠার প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের মহাপরিচালক জানান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের রাজধানীর ২ নম্বর শিক্ষা সম্প্রসারণ সড়কে (নায়েম রোড) প্রায় পৌনে ১৮ কাঠা জমির ওপর ছয় তলা পৈত্রিক বাড়ি রয়েছে। প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকার সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ও প্রতারণার আশ্রয় নেন। তিনি দ্য ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (অ্যালটমেন্ট অব ল্যান্ডস) রুলস, ১৯৬৯-এর বিধি ১৩ লঙ্ঘন করে হলফনামা দাখিল করেন এবং রাজউকের ১০ কাঠার প্লট বাগিয়ে নেন।

দুদক আরও জানায়, খায়রুল হক প্লট বরাদ্দের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। রাজউকের কর্মকর্তাদের সহায়তায়, সুদ মওকুফের কোনো বিধান না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্লট বরাদ্দের জন্য সাময়িক বরাদ্দপত্রে শর্ত ভঙ্গ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদসহ কিস্তির টাকা জমা না দিয়ে অবসরের পর, অর্থাৎ বরাদ্দের পাঁচ বছর পর, তিনি সুদবিহীনভাবে টাকা জমা দেন। এর ফলে তিনি সুদ বাবদ চার লাখ ৭৪ হাজার ২৪০ টাকা পরিশোধ না করে সরকারের ক্ষতিসাধন ও আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন—রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ ও এস্টেট) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভুইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভুমি) নাজমুল হাই।