সিরাজদিখানে সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বেহাল সড়ক সংস্কারের দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন তিনটি ইউনিয়নের শত শত বাসিন্দা। সোমবার (৪ আগস্ট) উপজেলার লতব্দি, বাসাইল ও কেয়াইন ইউনিয়নের মানুষ ধানের চারা রোপণ করে এই প্রতিবাদ জানান।
গোডাউনবাজার থেকে কুচিয়ামোড়া কলেজগেট পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার বেশিরভাগ জায়গায় হাঁটুসমান কাদাপানি জমে থাকে। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হাঁটাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এতে তিন ইউনিয়নের অন্তত ২২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাস্তার চারটি পয়েন্টে পৃথকভাবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন সাধারণ মানুষ ছাড়াও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী।
লতব্দি ইউনিয়নের ইসলামবাগ এলাকায় বেলা ২টার দিকে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান বলেন, ‘এই সড়কটাই আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। সংস্কারের অভাবে এখন পুরোটা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে, অসুস্থরা হয়ে পড়ছেন আরও অসুস্থ। গর্ভবতী নারীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে।’
পাথরঘাটা মডেল স্কুল, কুচিয়ামোড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, পাথরঘাটা দারুল উলুম মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। নবম শ্রেণির ছাত্রী ঝুমা আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিন গর্তের রাস্তা দিয়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। কয়েকবার কাদায় পড়ে বই-খাতা ভিজে গেছে। রিকশাও যেতে চায় না।’
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুচিয়ামোড়া কলেজগেট এলাকায়ও শত শত মানুষ জমায়েত হন এবং সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান। তাঁরা বলেন, যেকোনো মূল্যে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করতে হবে।
সিরাজদিখান উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আসিফ উল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। সড়কটি সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা আক্তার বলেন, সড়কটির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।