সুষ্ঠু নির্বাচন সরকারের মৌলিক দায়িত্ব : মঞ্জু

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনই এখন এ সরকারের মৌলিক দায়িত্ব।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা বিএনপি আয়োজিত বিজয় মিছিলপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন মঞ্জু। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে এ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দেশের মানুষ তার বিচার চায়। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও যারা সহযোগিতা করেছিলেন, তাদেরও বিচার করতে হবে।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরের প্রচেষ্টার ফল। তাই, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন এ সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। এ দেশের মানুষ ভোটারাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছে। ঠিক এক বছর আগে ২০২৪ সালের এই দিনে ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রাহুমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। জনগণকে মুক্তি দিতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের মুক্তি কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এই দেশ জনগণের কথায় চলবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বাধীনতা প্রিয়, গণতন্ত্র প্রিয় জনগণের জন্য ৫ আগস্ট দিনটি আনন্দের। দিনটি বিজয়ের। রাহুমুক্ত বাংলাদেশের এই দিনটিকে অন্তর্বর্তী সরকার ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাঁবেদারমুক্ত বাংলাদেশের জনগণ প্রতিবছর এই দিনটিকে স্বাধীনভাবে পালন করবে। হাজারও শহীদের রক্তস্নাত রাজপথে ফ্যাসিবাদবিরোধী অভূতপূর্ব জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে আর কখনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে না, কাউকে গণতন্ত্র হত্যা করার সুযোগ দেওয়া হবে না, বাংলাদেশকে আর কখনও তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেওয়া হবে না। এ জন্য সব ভেদাভেদ ভুলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শপথ নিতে হবে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার।
অনুষ্ঠানে আন্দোলনে আহত ও মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।
অধ্যাপক অরিফুজ্জামান অপু ও আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান দিপু ও নিজাম উর রহমান লালুসহ অন্যান্যরা।
সমাবেশ শেষে বিশাল এক বিজয় মিছিল নগরীর তেঁতুলতলা মোড় থেকে ময়লাপোতা, সাতরাস্তা, রয়েল চত্বর, ফেরিঘাট হয়ে ডাকবাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড, শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিশাল আকৃতির ছবি এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে বিজয় মিছিলটি শুরু হয়।