এসিল্যান্ড না থাকায় ভোগান্তিতে বিজয়নগরবাসী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আট মাস ধরে এসিল্যান্ডের (সহকারী কমিশনার, ভূমি) পদ শূন্য থাকায় থমকে গেছে নানা ভূমি সেবা কার্যক্রম। এতে দাপ্তরিক জটিলতার পাশাপাশি জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। আটকে আছে নামজারি, খাজনা আদায়সহ বিভিন্ন কাজ। ফলে কমেছে সরকারি রাজস্ব আয়ও। কবে নতুন এসিল্যান্ড যোগ দেবেন–এ বিষয়ে নিশ্চিত নন কেউই।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এসিল্যান্ড বদলি হওয়ার পর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা অতিরিক্ত দায়িত্বে ভূমি অফিসের কাজ দেখভাল করছেন। তবে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিয়মিত অফিস পরিচালনা করা তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসিল্যান্ডের অনুপস্থিতিতে বাজার মনিটরিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও ভূমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ব্যাহত হচ্ছে। ফলে তাদের নানাভাবে হয়রানি ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউএনও সাধনা ত্রিপুরা বলেন, ‘আমার দরজায় এসে কেউ সেবা না পেয়ে ফিরে যায়নি। আমার দরজা সবার জন্য খোলা। আমি দিন-রাত কাজ করছি, আর নামজারি ২৮ দিনের বেশি আটকে থাকে না। ভূমি অফিসের সব কাজই দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে।’
তবে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘আট মাস ধরে ঘুরছি, কিন্তু নামজারি করতে পারিনি। ইউএনওর সঙ্গে চেষ্টা করেও দেখা করতে পারিনি।’
দ্রুত নতুন এসিল্যান্ড নিয়োগ দিয়ে সেবা কার্যক্রম সচল করার দাবি জানিয়েছেন উপজেলার ভুক্তভোগী জনগণ।