ইলিশের স্বপ্নে জেলেদের হতাশা

বাগেরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (কেবি) এলাকায় আগে প্রতিদিন কোটি টাকার ইলিশ পাইকারি বিক্রি হতো। তখন জেলেদের মুখে ছিল স্বস্তির হাসি। কিন্তু এ বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে সাগরে ট্রলার নিয়ে যাওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হতাশায় দিন পার করছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
কেবি বাজার মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক অনুপ বিশ্বাস জানান, কোটি টাকা খরচ করেও ইলিশের সেই পরিমাণ পাওয়া যাচ্ছে না, যা পাওয়া উচিত ছিল। এ মৌসুমে আমরা অনেকটাই লোকসানের মুখে পড়েছি।
জেলার বাইরে গোপালগঞ্জ, পাবনা, ঈশ্বরদী, যশোর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা কেবি বাজার থেকে মাছ কিনে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যায়। কেবি বাজারে ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মাছ কেনাবেচা হয়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে ৮০ পিস ইলিশ (প্রায় এক পোন) পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৮৪ হাজার ১০০ টাকা দরে। প্রতি কেজিতে ইলিশ থাকে ৮ থেকে ১০টি, যার দাম ১ হাজার ৩০০ টাকা প্রতি কেজি। ছোট জাটকা ইলিশ ৫ থেকে ৬ টিতে এক কেজি ধরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫০০ টাকায়।
পাইকারি ব্যবসায়ী মো. আজমল জানান, খুচরা বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১ হাজার ৭০০ টাকায়। অন্যদিকে কচুয়া ভাষা বাজারে জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।
মহিপুর, আলিপুর, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দাম কম হওয়ায় বেশি দাম পেতে পিকআপে করে ইলিশ পাঠানো হয় কেবি আড়তে। এখানে এক থেকে দেড় কেজি ইলিশ পাইকারি বিক্রি হয় ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায়।
ট্রলার মাঝি ময়েন জানান, শুক্রবার ৭ থেকে ৮ ট্রলার ভরে মাছ সাগর থেকে আসলেও পন্য বিক্রি করেও দেনা শোধ করতে পারছেন না।
আরেক ট্রলার মাঝি মো. ইলিয়াস বলেন, প্রতি ট্রলারে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয় জ্বালানি তেল, বরফ ও অন্যান্য বাজারের জন্য। মাঝিমাল্লাসহ ১৮ জন স্টাফের অগ্রিম ও ঘাটে খরচ মিলিয়ে লোকসান না হলেও এখনও লাভের মুখ দেখেননি।