জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান হয় স্বাধীনতা রক্ষায় : খালেদ হোসেন

বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান হয় স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য। মূলত ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্যদিয়ে দেশের জনগণ পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৬ বছরে এদেশের স্বাধীনতা, সংবিধান, আইন, বিচার, নির্বাচণি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল। তবে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান ও ছাত্র জনতার নেতৃত্বে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার চেতনাকে পুনঃস্থাপন করেছে।’
আজ শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় মুক্ত মঞ্চ মাঠে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খালেদ হোসেন।
সমাবেশে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সব শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। তাই কেউ যদি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে এককভাবে দাবি করে, তবে তা ভুল হবে। মূলত বিএনপির বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামের পটভূমির বহিঃপ্রকাশ হলো জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান। এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে হবে।’
খালেদ হোসেন বলেন, ‘দেশের জনগণ অনেক সচেতন। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণ নিলেও জনগণের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী জনকল্যাণে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে কাজ করে যেতে হবে। জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।’
খালেদ হোসেন আরও বলেন, বিএনপি দিনের ভোট রাতে কিংবা হামিডামির নির্বাচন চায় না, বরং জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আয়োজনে সরকারি কলেজ মাঠ থেকে বিজয় র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি শহরের পাওয়ার হাউজ রোড, কালিবাড়ি মোড়, টি এ রোড, কান্দিপাড়া মোড়, কুমারশীল মোড়সহ বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোকনাথ ট্যাংকের পাড় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিনিয়র সহসভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহসভাপতি এ বি এম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ অন্যান্যরা।
এর আগে ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় র্যালি করা হয়। বিজয় র্যালিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা ঢাক-ঢোল ও ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনায় অংশগ্রহণ করে।