নেত্রকোনায় আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে স্বস্তিতে নেত্রকোনার ধান চাষিরা। গত এক সপ্তাহের নিয়মিত বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে যাওয়ায় কৃষকেরা এখন জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৯৫ মেট্রিক টন চাল। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টরে ইতোমধ্যে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথাও ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ, কোথাও আগাছা পরিষ্কার, আবার কোথাও দলবদ্ধভাবে চারা রোপণ চলছে। দেশি ধানের পরিবর্তে এখন কৃষকেরা বেশি চাষ করছেন বিআর-৪৯, বিআর-৩২, বিআর-১৭, সুমনা, জিরা বাদামসহ হাইব্রিড জাত।
এদিকে, হাওরাঞ্চলের প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর জমি পানির নিচে থাকায় সেখানে চাষ সম্ভব নয়। তবে সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় ঢলের পানি ও হাতির আক্রমণের শঙ্কায় কৃষকেরা আগেভাগেই রোপণ করছেন স্বল্প জীবনকালীন বিনা ধান ১৭ ও ১৮ জাত।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, নেত্রকোনার ৬টি উপজেলায় হাওরের অধীনে জমি আছে প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর। এগুলো এখন পানির নিচে। এ অবস্থায় আমাদের তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। তবে হাওরের পানি কমে যাওয়ার পরে যাতে কৃষকগণ বাড়তি ফসল উৎপাদন করতে পারেন সেজন্যে আমরা তাদের আগাম রবি ফসলসহ বিশেষ করে সরিষা আবাদের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে থাকি। আমাদের এ জেলায় সরিষা আবাদ বিগত তিন বছরে প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি সরে যাওয়ার পর দ্রুত যাতে কৃষক ভাইয়েরা তাদের জমিতে আগাম রবি ফসল চাষ করে লাভবান হতে পারে এবং পরবর্তী বোরো ফসল যেন নির্বিঘ্নে আবাদ করতে পারে এজন্য আমরা তাদের পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।