যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধূ ডালিয়া বেগম হত্যা মামলায় স্বামী টিটুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকার জরিমানা করেছেন। এছাড়া এ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় টিটুর মা আমেনা বেগম ও তার ভাই শাহ আলমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
নারী ও শিশু আদালত-৪ এর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এদিন আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান।
এজাহার থেকে জানা গেছে, নিহতের বাবা মো. রোস্তম আলী ২০০২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ডালিয়া বেগমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালের আসামি টিটুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে টিটুসহ তার পরিবারের অন্যান্য আসামিরা ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে ডালিয়াকে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের কারণে ভুক্তভোগী ডালিয়া আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। পরে আপস করে মামলাটি প্রত্যাহার করে সংসার শুরু করেন।
আসামিরা পুনরায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক না দেওয়ায় ২০০২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকালে আসামি টিটু, ডালিয়ার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
টিটুর ভাই শাহ আলম, বোন জীবনী, ভাই মোস্তফা, মা আমেনা বেগম টিপুকে সহযোগিতা করেন। ভুক্তভোগীর সমস্ত শরীরে আগুন লেগে মারাত্মকভাবে জখম হয়ে জ্ঞান হারান। আশপাশের ভাড়াটিয়ারা চিৎকার শুনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০০২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান ডালিয়া।