কুমিল্লা শহরতলীর চাঁনপুরে দুই যুগের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসনের পথে

কুমিল্লা শহরতলীর চাঁনপুরে দুই যুগের জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিয়েছে সিটি করপোরেশন। রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে জলাবদ্ধতার স্থানগুলো পরিদর্শন করেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) আবু সায়েম ভুইয়া ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা এলেই চাঁনপুর সড়কের হাঁটু সমান পানি থাকে। সড়কটি ধরে একটু এগিয়ে গেলে মধ্যমপাড়া। ওই এলাকার প্রতিটি বাড়ির ভেতরে পানি। রাস্তা-ঘাট, উঠোন, রান্নাঘর-টয়লেট সবই ময়লা পানিতে সয়লাব। বছরে একবার বৃষ্টি হয়ে পানি জমলে পুরো বছরের জন্য পানিবন্দি হয়ে থাকে এলাকাটি। রোদ কিংবা বৃষ্টির দিন, টানা ময়লা পানি দিয়ে চলাচলের কারণে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে বাসিন্দাদের শরীরে। জলাবদ্ধ এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও যান চলাচলও কমে যাচ্ছে দিন দিন।
জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায়, চাঁনপুরের পূর্বপাশে যে জলাধার রয়েছে সেখান থেকে পানি নিষ্কাশনের নালা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। কোথাও পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো ভরাট হয়ে গেছে। যার ফলে জলাবদ্ধতা স্থায়ীরূপ ধারণ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, এই সমস্যা সমাধানে খাল খনন জরুরি। পাশাপাশি নালাগুলো সংস্কার জরুরি। আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এই কাজটা করবো।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আবু সায়েম ভুইয়া জানান, চাঁনপুর এলাকার জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী হলো ড্রেন ও নালাগুলো। এগুলো সংস্কার করা হচ্ছে না। কারণ চাঁনপুরের একপাশে সিটি করপোরেশন অন্যপাশে ইউনিয়ন পরিষদ। যার ফলে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে তারা জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কাজ করবে। আমরা খাল খনন করবো। যেন এখানের পানি পুরোনো গোমতীতে গিয়ে জমে। এতে করে বিবিরবাজার হয়ে পানিটা সরে যাবে। তাতে চাঁনপুর এলাকার জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে।