ডা. নিতাই হত্যা মামলা
পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড, চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ওরফে নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ডা. নিতাইয়ের গাড়িচালক কামরুল হাসান অরুণ, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু ওরফে মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, মো. হোসেন মিজি ও সাঈদ ব্যাপারী। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- সাইদুল, মাসুম ওরফে প্যাদা মাসুম, মো. আবুল কালাম ওরফে পিচ্চি কালাম ও ফয়সাল। রায়ে বিচারক আমৃত্যুর পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম নামে আরেক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে দণ্ডের পাশাপাশি তাকেও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নিজের বাসায় খুন হন ডা. নিতাই। এ ঘটনায় ডা. নিতাইয়ের বাবা তড়িৎ কান্তি দত্ত ওই দিনই বনানী থানায় মামলা করেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাত ১১ টার সময় মহাখালী ডা. কোয়ার্টার্সের উপরোক্ত বাসার নিচতলায় ভিকটিমের বাবা-মা এবং দ্বিতীয় তলায় ডা. নারায়ন চন্দ্র দত্ত (নিতাই) ঘুমাতে যায়। ওইদিন ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিতাইতের মা মঞ্জু দত্ত দ্বিতীয় তলায় আওয়াজ শুনতে পায়। নিতাইয়ের মা দ্বিতীয় তলায় উঠে দেখেন তার ছেলের বুকে ও মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। নিতাইয়ের মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশী ডা. আক্তার হোসেনসহ নিরাপত্তা কর্মীরা এগিয়ে আসে এবং চিকিৎসার জন্য দ্রুত বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এজাহারে আরও জানা গেছে, চুরি করার সময় দেখে ফেলায় ডা. নিতাইকে হত্যা করা হয়। আসামিরা নগদ ৫ লাখ টাকা ও ২টি স্বর্ণের বালা নিয়ে যায়।
মামলার পরে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান।