সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল অপু রিমান্ডে

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপুকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার ( ১৮ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আমলি আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল রোববার ( ১৭ আগস্ট) গভীর রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অপুকে। এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানা, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু একটি হত্যাসহ চারটি মামলার আসামি। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা শহরের হাটের রাস্তায় জামায়াতকর্মী সালাম হত্যা, জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ, জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের কলাবাগানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ এবং জেলা বিএনপির সহসভাপতি আক্তারুজ্জামানের মালিকানাধীন ওষুধের দোকান ভাঙচুরসহ লুট। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পতিত হাসিনা সরকারের পতনের পর মামলাগুলো করা হয়।
ওসি আরও জানান, আজ সোমবার শুধু জেলা বিএনপির সহসভাপতি আক্তারুজ্জামানের মালিকানাধীন ওষুধের দোকান ভাঙচুরসহ লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। পর্যায়ক্রমে অন্য মামলাগুলোয় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলেও জানান ওসি ।
জানা যায়, কঠোর নিরাপত্তায় রাতেই ঢাকা ডিবি অফিস থেকে পুলিশের একটি দল সাবেক সংসদ সদস্য অপুকে নিয়ে ঝিনাইদহে রওনা দেয়। দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি (সদর) আদালতে নেওয়া হয়। জেলা বিএনপিনেতা আক্তারুজ্জামানের মালিকানাধীন শহরের আক্তার ফার্মেসি ভাঙচুরসহ লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুনতাহারুল ইসলাম। আদালত ওই মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে বেলা আড়াইটার দিকে আদালত থেকে সরাসরি নেওয়া হয় সদর থানায়।
শফিকুল ইসলাম অপু ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পরে সহসভাপতি থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।