চলনবিলে বেড়েছে মাছের উৎপাদন

বর্ষার পরে শরতের আগমনের সঙ্গে দেশটির প্রধান মৎস্য ভাণ্ডার চলনবিলে মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ বছর প্লাবনভূমির স্থায়িত্ব বৃদ্ধি ও মৎস্যসম্পদ রক্ষায় গৃহীত কার্যকর পদক্ষেপের কারণে উৎপাদন প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চলনবিল প্রতিবছর প্রায় ৬৫ হাজার টন মাছ উৎপাদন করে দেশের মোট মাছের ১৪ শতাংশ সরবরাহ করে। নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিল থেকে প্রায় ৮ হাজার টন মাছ পাওয়া যায়। তবে পদ্মা ও যমুনার পানির সংকট, অবকাঠামোর অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ ও রাসায়নিক সার-সাপ্লাই ব্যবহারের ফলে মাছের উৎপাদনে কিছু নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা কমিটি এবং মৎস্য অধিদফতর নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অবৈধ জাল অপসারণ, মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী রক্ষা করছে। চলনবিলে সাত হাজারেরও বেশি জেলের জীবিকা নির্ভর করছে, যার মধ্যে ৬ হাজার ৬০৩ জনকে স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে।
সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, দীর্ঘ বর্ষাকাল দেশি মাছ উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মৌসুম শেষে উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মজহারুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন চলন বিলের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় বদ্ধপরিকর। আমরা শুধু মৎস্যসম্পদ রক্ষাই নয়, জেলেদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের জন্যও কাজ করছি।