প্রধান শিক্ষক দ্বন্দ্ব : নওগাঁ বরইল উচ্চ বিদ্যালয়ের তদন্ত সম্পন্ন

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বরইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের বিষয়ে তদন্ত শেষ করেছে জেলা শিক্ষা বিভাগ। বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে পূর্বের প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্রের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্ত পরিচালিত হয়। তবে, তদন্তে কি কি তথ্য জানা গেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা বলেন, গত আট বছর ধরে এই সমস্যা চলার কারণে অনেক শিক্ষার্থী অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেছে। তারা চান, দুই শিক্ষকেরই যদি কোনো দোষ থাকে, তবে তাদের দুজনকেই বাদ দিয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আর না হয়।
গৌর চন্দ্র অভিযোগ করেন, মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ এই পদে থাকতে পারেন না। তিনি বলেন, গত ২৮ জুলাই, ২০২৪ তারিখে সাবেক সরকার সমর্থিত সভাপতির সঙ্গে যোগসাজশে আব্দুর রউফ এই অবৈধ নিয়োগ নেন। ৫ আগস্টের পর আব্দুর রউফ নিজেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার জোরপূর্বক দায়িত্ব পালন করছেন।
অপরদিকে, আব্দুর রউফ দাবি করেন যে, তিনি সরকারি বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। আব্দুর রউফ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যারা প্রধান শিক্ষক হওয়ার কথা ছিল, সেই সময় তাদের না পাওয়ায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গৌর চন্দ্র বিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ তৈরি করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন তদন্ত শেষে বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সমস্যাটি এখন জটিল আকার ধারণ করেছে। তাদের দ্বারা বিদ্যালয়ের স্বার্থের কোনো ক্ষতি হয়ে থাকলে তারা দুজনই শাস্তি পাবেন।’ তিনি বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।