ছাত্রলীগনেতাকে নিজ দলের দাবি করে থানায় জামায়াতনেতার তদবির

পটুয়াখালীর বাউফলে ডেবিলহান্ট অপারেশনে আটক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় গিয়ে তদবির করেছেন গোলাম আবু সাঈদ নামে এক জামায়াতনেতা। তিনি উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন যুব জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি পদে রয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ছাত্রলীগের সাবেকএ নেতাকে কেশবপুর ইউনিয়নের মমিরপুর গ্রাম থেকে আটক করে।
আটক ওই ছাত্রলীগের সাবেক নেতার নাম মাইনুল ইসলাম (৩২)। তিনি কেশবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, আটকের পর তাকে (মাইনুল) ইউনিয়ন যুব জামায়াতের অর্থবিষয়ক সম্পাদক দাবি করে ছাড়িয়ে নিতে থানায় গিয়ে তদবির করেন জামায়াতনেতা সাঈদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতনেতা গোলাম আবু সাঈদ বলেন, শুধু মাইনুল নয়, জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নেতারাও সাবেক চেয়ারম্যান অপুর নির্বাচন করেছে। সে ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিল না। আমার ইউনিয়ন জামায়াতের যুব কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। তার জন্য স্বাভাবিকভাবে আমাকে থানায় আসতে হয়।
এর আগে ২০২৪ সালে কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগনেতা এনামুল হক অপুর মনোয়নপত্রে সমর্থনকারী ছিলেন। এ নিয়েও ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের শ্যালক এনামুল হক অপু। ওই নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাইনুল ও তার ভাই আমিনুল অপুর পক্ষে নির্বাচন করেছেন। ওই নির্বাচনে তারা এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, মাইনুলকে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য-প্রমাণ নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’