সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

সাউথইস্ট ব্যাংক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অনুসন্ধানের জন্য উপপরিচালক আজিজুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী মুসা জেবিন ও সহকারী পরিচালক আল-আমিন। অনুসন্ধান শেষে খুব শিগগিরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুটি বড় অভিযোগ রয়েছে- একটি গাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত এবং অন্যটি জমি কেনাবেচা ও অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদক।
গত ৩ সেপ্টেম্বর নিজামুল আলম নামের এক ব্যক্তি দুদকে নতুন একটি অভিযোগ জমা দেন। এতে বলা হয়, এম এ কাসেম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য জমি কেনাকাটায় ৩০৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির অর্থ থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন এবং অতিরিক্ত সিটিং অ্যালাউন্স বাবদ লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া, সাউথইস্ট ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগও তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এম এ কাসেম কম মূল্যের জমি বেশি দামে কিনে, ডেভেলপার কোম্পানি থেকে কমিশন নিয়ে এবং নানা অনিয়মের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন। এর মধ্যে রূপগঞ্জে ২৫০ বিঘা নিচু জমি কিনে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভলপার্সের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকার জমি ৫০০ কোটি টাকায় কিনে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, তিনি বোর্ডের ৯ জন সদস্যের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি রেঞ্জ রোভার ও একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি কিনেছেন। এসব গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও আনুষঙ্গিক খরচও বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড থেকে বহন করা হতো। এছাড়া, তিনি নিয়ম ভেঙে ২৫টি কমিটি গঠন করে অতিরিক্ত সিটিং অ্যালাউন্স আদায় করতেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০৮ কোটি টাকা নিজেদের মালিকানাধীন সাউথইস্ট ব্যাংকে জমা রেখেছিলেন।
অভিযোগকারী তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা ও বিচার দাবি করেছেন।