ফরিদপুরে মা-ছেলের রহস্যজনক মৃত্যু

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে মা ও ছেলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ঘর থেকে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ এবং পাশের অন্য একটি ঘর থেকে পাঁচ বছরের শিশু সন্তানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন-পূর্বকান্দি গ্রামের বাসিন্দা রমজান মুন্সীর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২) এবং একমাত্র ছেলে হুজাইফা (৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে থাকার পর দুই বছর আগে দেশে ফেরেন রমজান। তিনি আবারও বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঘটনার সময় রমজানের বাবা মোতালেব মুন্সী বাড়ির কাছে গরুর খামারে কাজ করছিলেন। হঠাৎ চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তিনি বাড়িতে ছুটে আসেন এবং দেখতে পান সুমাইয়া ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয় এবং সুমাইয়াকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ হুজাইফাকে ঘরের ভেতরে একটি কম্বলে মোড়ানো গলাকাটা অবস্থায় পায়।
নিহত সুমাইয়ার শ্বশুর মোতালেব মুন্সী বলেন, রমজান ও সুমাইয়ার মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল এবং তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়ার কথা তিনি কখনও শোনেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী জানান, সুমাইয়া ও রমজানের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
ঘটনার পরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, সুমাইয়াকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। শিশুটির মৃতদেহ ঘরের ভেতর কম্বল পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে সুমাইয়া তার শিশু সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করার পর নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।