ভূমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর শুরু করেছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন

নওগাঁয় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অধিগ্রহণ করা ভূমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে এই চেক তুলে দেন।
দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের স্থাপনার মূল্য থেকে ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়ার জটিলতার কারণে চেক পাচ্ছিলেন না। সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়ায় এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলে নওগাঁ-বদলগাছী আঞ্চলিক সড়কের কাজও থমকে ছিল। জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই সমস্যার সমাধান হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা এখন চেক পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও চেক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এদিন নওগাঁ-বদলগাছী সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত আল মামুনের হাতে ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৬৯৯ টাকার এবং আব্দুর রহমানের হাতে ৯৪ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া জমির মূল্য বাবদ আব্দুল হাকিম মন্ডলকে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৭ টাকার চেক দেওয়া হয়।
আতাইকুলা গ্রামের ৫২ শহীদের বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মালিক ধ্রুব কুমার পালসহ দুইজনের মাঝে এক লাখ ২৬ হাজার ৬৪২ টাকার চেক এবং মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় শিব নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য মনোরঞ্জন সরকারকে এক লাখ ৭২ হাজার ১৯৭ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
চেক পেয়ে আল মামুন ও আব্দুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, একটু দেরি হলেও সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে চেক দেওয়ায় আমরা খুশি। এই টাকা এখন প্রয়োজনীয় কাজে লাগাতে পারব।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন অসমাপ্ত রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা বলেন, প্রকৃত মালিকরা যাতে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য পায়, সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এ কারণে অনেক সময় শুনানি করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল জানান, ভূমি অধিগ্রহণের টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসার পর তা প্রক্রিয়া শেষে মালিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। জমির মালিকানা নিয়ে নানা সমস্যা থাকে, তাই সঠিক যাচাই-বাছাই করতে কিছুটা সময় লাগে। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।