‘নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট করা যেতে পারে’

সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন জোট ও দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ১২ দলীয় জোটের নেতারা। বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই ‘জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে’ বাস্তবায়নের পক্ষে একটি গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখা, নির্বাচন বানচলের ষড়যন্ত্র প্রতিহত ও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য করণীয়’ নিয়ে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে সব দলের নেতারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে যেকোনো ছাড়ের বিনিময়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করার ব্যাপারে একমত হন। তারা মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই ‘জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে’ বাস্তবায়নের পক্ষে একটি গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
এ ছাড়া নেতারা আরও বলেন, সাংবিধানিক আদেশ বা সংবিধান সংশ্লিষ্ট মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের ১০৬নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের নিকট মতামত জানতে চাইতে পারেন।
নেতারা অঙ্গীকার করেন, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে যেকোনো মূল্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও স্বাক্ষর প্রক্রিয়ায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, আমজনতার দলের সভাপতি কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মিয়া মশিউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান, এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, লেবার পার্টির সহসভাপতি এস এম ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।