খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষে নিহত ৩

স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনার মধ্যে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা চলা অবস্থাতেই রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনজন নিহত হয়ে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন পাহাড়ি নিহত, মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার অনুরোধ করা হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাকা হয়েছিল।
শনিবার দুপুর থেকে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজন পাড়া, নারিকেল বাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার এবং শহীদ কাদের সড়কে দুটি পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সহিংসতার সময় স্বনিভর্র ও নারিকেল বাগান এলাকায় বেশকিছু দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। অবরোধ চলাকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে টায়ারে আগুন দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। আলুটিলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং নারানখাইয়া এলাকায় একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় শনিবার দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বর্তমানে ৭ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশ রাস্তায় টহল দিচ্ছে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।