গুইমারায় ১৪৪ ধারা ভেঙে সংঘাত ছড়ানো নিয়ে যা জানা গেল
খাগড়াছড়ি গুইমারায় গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আরও দুজনের অবস্থা গুরুতর। চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কার গুলিতে কীভাবে মারা গেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের হিমঘরে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী তিন পুরুষের মৃতদেহ আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাবের। জানা গেছে, পুলিশি পাহারায় মৃতদেহগুলো আনা হয়েছে। সিভিল সার্জন জানান, আগামীকাল সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ছাড়া গুইমারার ঘটনায় আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ।
পুলিশ ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় ১৪৪ ধারা ভেঙে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ করাকে কেন্দ্র ঘরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে পিকেটারদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় একজন মেজর পদবির একজন কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনীর ১৫ জন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয় পিকেটারসহ স্থানীয় বাঙালিরাও।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে গুইমারা উপজেলার খাদ্য গুদাম এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। এ সময় পিকেটারদের সরে যেতে নির্দেশ দিলে নারী-পুরুষসহ কয়েকশ পাহাড়ি সেনাবাহিনীর ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবিনিময় শুরু হয়। এ সময় পিকেটাররা স্থানীয় রামেশু বাজার এলাকায় সিবু ঘোষের ভাড়া বাসায় পরিচালিত ভবনে শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা, যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে পিকেটাররা গুইমারা বাজারের দিকে যেতে চাইলে স্থানীয় বাঙালিরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এরপর পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় রামেশু বাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুইমারা, জালিয়া পাড়াসহ পুরো এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরীকে মোবাইলফোনে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।