চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির হাতে ধরা পড়ল এজাহারনামীয় অভিযুক্ত গোলাম আহমেদ সাব্বির (৫৭)।

রোববার (২৪ আগষ্ট) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে সিআইডি রংপুর মেট্রো এবং জেলা পুলিশের একটি দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানার সহযোগিতায় রাজধানীর ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপতার করে।

আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

বিজ্ঞপ্তিতে জসীম উদ্দিন জানান, গোলাম আহমেদ সাব্বির নিজেকে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলে মো. আব্দুস সালাম ও মো. রায়হান আলী তাকে মোট ৪০ লাখ টাকা দেন। এর মধ্যে নগদ দেয় ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং বাকি ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা অভিযুক্তের নামে খোলা আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টে জমা দেওয়া হয়। অর্থ গ্রহণের পর ভুক্তভোগীদের কাছে সে ভুয়া নিয়োগপত্র সরবরাহ করে। আব্দুস সালামকে সিলেট অঞ্চলে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে এবং রায়হান আলীকে খুলনা অঞ্চলে সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তারা কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে নিয়োগপত্র দুটি জাল প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় তারা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি)কোতয়ালী থানার এফআইআর দায়ের করেন।

সিআইডির তদন্তে দেখা যায়, অভিযুক্তের কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই। রূপগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে তার পূর্বপুরুষের বাড়ি থাকলেও প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে পরিবারসহ সেখান থেকে সরে যান। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত গোলাম আহমেদ সাব্বির পলাতক ছিলেন এবং ঠিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপন করেছিলেন। কিন্তু এই অভিযানে, সিআইডি রংপুর মেট্রো অ্যান্ড জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।