মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দৈনিক গড় হিসেবে গত অক্টোবর মাসের তুলনায় চলতি নভেম্বর মাসে অধিক পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন, চলতি মাসে শনিবার পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১১ হাজার ৭৩২ মেট্রিক টন। দৈনিক গড়ে এসেছে ৭৬৮ দশমিক ৮ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, অক্টোবর মাসে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন বা গড়ে প্রতিদিন ৬৯৪ দশমিক ৭৭ মেট্রিক টন।
পেঁয়াজ আমদানির এ ধারা অব্যাহত থাকলে অক্টোবরের চেয়ে এ মাসে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে বলে উল্লেখ করেন আবছার উদ্দিন।
টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরে মাত্র এক দিন পেঁয়াজ আসা বন্ধ ছিল। এ ছাড়া, অন্যান্য দিন আমদানি স্বাভাবিক ছিল। এখনো আগের মতো মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। আমরা আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুততম সময়ে খালাসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’
এদিকে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেকনাফের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরি অতিক্রম করলেও তাঁরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় তাঁরা অহেতুক পেঁয়াজের দাম বাড়াবেন না বলেও জানান।
গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা জায়গায় পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম দাঁড়ায় ২৬০ টাকা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ‘বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায়’ অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আকাশছোঁয়া দামের জন্য পেঁয়াজের সরবরাহের ঘাটতিকে দায়ী করছেন।
ভারত নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে এ পণ্যটির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে।
সরকার শুক্রবার জানায় যে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে আকাশপথে তুরস্ক, মিসর, আফগানিস্তান ও ইউএই থেকে জরুরিভাবে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে।