কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাংলা নববর্ষের উপহার

বাংলা নববর্ষকে ঘিরে বাংলাদেশ ব্যাংককে উপহার দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অনেকেই ভ্যানগাড়িতে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিয়ে আসেন উপহারের প্যাকেট।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, তবে এসব উপহার সবার জন্য নয়। এ উপহার যাচ্ছে মহাব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে গভর্নর পর্যন্ত।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে সরেজমিনে দেখা যায়, মধুমতি ব্যাংকের উপহারের প্যাকেটগুলো এত বড় যে একজন লোক দুইটার বেশি বহন করতে পারছেন না। প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে ১৪ প্রকারের পণ্য। এর মধ্যে রয়েছে রুমাল, মিষ্টি, মোয়া, নারিকেলের লাড্ডু, খই। আর ফলের মধ্যে রয়েছে কলা, নারিকেল, বরই, পেয়ারা, বাঙ্গি।
প্যাকেটের গায়ে মধুমতি ব্যাংক লেখা থাকলেও ব্যাংকটির তিন কর্মকর্তার ভিজিটিং কার্ডও রয়েছে। তাঁরা হলেন ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল আজম, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস আরিফুর রহমান এবং প্রিন্সিপাল অফিসার মনোজিৎ রায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে আরো জানা যায়, অধিকাংশ ব্যাংক নববর্ষের এ উপহার পাঠিয়ে থাকে। শুধু নববর্ষই নয়, বিভিন্ন দিবসে উপহারের এ সংস্কৃতি চলে। অনেকে প্যাকেটের গায়ে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নাম লেখেন। আবার অনেকে প্যাকেটের গায়ে ব্যক্তিগত ভিজিটিং কার্ড লাগিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কয়েক বছর থেকে কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের বড় বড় গ্রাহকদের পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে উপহার দিয়ে থাকে। এর মধ্যে আছে মিষ্টি, মুড়ি, ফল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তাদেরও দেয়।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, ব্যাংকগুলো এটা সৌজন্যের অংশ হিসেবে এবং খুব সীমিত আকারে দিচ্ছে। কাজেই এটাকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তা তারা এখনো করেননি। তবে যদি এটা ব্যাপকভাবে হয় তাহলে তখন তাঁরা এটাকে নিয়ে চিন্তা করবেন বলে তিনি জানান।
নির্বাহী পরিচালক বলেন, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন রকমের প্যাকেটে করে এসব উপহার পাঠাচ্ছে। কারোটা ছোট, আবার কারোটা বড়। তবে প্যাকেট বড় দেখা গেলেও ভেতরে যে খুব বেশি দামি পণ্য তা কিন্তু নয়।
মধুমতি ব্যাংকের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস আরিফুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বাংলা নববর্ষের এই উপহার শুধু এবারই প্রথম দিচ্ছি তা নয়, আগেও দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এটা আমরা আমাদের গ্রাহকদের দিয়ে থাকি। শুধু বাংলাদেশ ব্যাংককে যে দিয়ে থাকি তা নয়। অন্যান্য ব্যাংকেও এ উপহার দেওয়া হয়। বাংলা নববর্ষে শুধু নয়, ইংরেজি নববর্ষেও এই উপহার দিয়ে থাকি।’